এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল এ মাসের শেষে প্রকাশিত হবে। সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ডিসেম্বরের শেষের দিকে (২৮–৩১ ডিসেম্বর) যেকোনো দিন জানা যাবে সফলতা আর ব্যর্থতার নিকাশ। চাপ বাড়বে মিষ্টির দোকানে, ফেসবুকের দেয়ালে দেয়ালে। ‘সফল’ শিক্ষার্থীদের বাবা–মায়ের সচিত্র দোয়া প্রার্থনা আর শুকরিয়ার মিছিলে ভাসবে দেশ। নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস আর শিক্ষক–অভিভাবকদের সংলাপ, সাক্ষাৎকারে ভরে যাবে সংবাদপত্রের পাতা, আর ‘বোকা বাক্স’-এর পর্দা। প্রতিবছর ফলাফল প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ‘অসফল’ পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যা আর আত্মহত্যাচেষ্টার খবর আসতে থাকে। নানা কারণে, এবারও সে রকম ঘটার আশঙ্কা বেশি বৈ কম নয়।
করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। মৌলিক বিষয়গুলো বাদ দিয়ে শুধু বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হয়েছে। সারা দেশে সব মিলিয়ে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এদের অনেকেরই অকালে বিয়ে হয়েছে, কেউ সন্তান কোলে পরীক্ষা দিতে এসেছে। চাকরি থেকে ছুটি নিয়ে এসেছিল অনেকে। ছুটি না পেয়ে চাকরি ছেড়ে এসেছে কেউ কেউ। ইচ্ছা আর আশা থাকলেও সবার আশা পূরণ হবে না। অনেকের নাম ফলাফলের তালিকায় থাকবে না। থাকবে না প্রত্যাশিত বা আশানুরূপের তালিকায়। শঙ্কা এই আশাহত পরীক্ষার্থীদের নিয়ে।