শীতের আগমনী বার্তা বেশ ভালোভাবেই পৌঁছেছে উত্তরের জনপদে; তাপমাত্রা এর মধ্যে এক অংকের ঘরেও নেমেছে। কিন্তু পৌষের প্রথম সপ্তাহ পেরোলেও ইট-পাথরের ঢাকায় তেমন হিমভাব নেই। শীতবস্ত্রের বিক্রেতাদের তাই হাপিত্যেশ, কবে জমবে শীত, বাড়বে তাদের বিক্রি।ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা কিছুটা বাড়লেও গরম কাপড়ের বড় বিপণিবিতানগুলো সরগরম হয়ে উঠেনি। এর মধ্যেই যেসব শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে, তার দাম আগের বছরগুলোর চেয়ে কিছুটা বেশিই মনে হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। ঢাকার গুলশানের ডিএনসিসি মার্কেটে কম্বলের দোকানে ক্রেতার আনাগোনা নেই বললেই চলে।
গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরা পড়েছে তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাসর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।গত দুদিন রাজধানী ঘুরে মার্কেটগুলোতে শীতবস্ত্রের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা এখনও তেমন নেই। ৩৫ বছর ধরে শীতের কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বায়তুল মোকাররম এলাকার শাহজাহান।তিনি বলেন, “আগে তো কার্তিক মাস থেকে বিক্রি শুরু হত, গ্রাম থেকে বাচ্চা-বড় সবাই শীতের কাপড় চাইতো, তখন শহরে থাকা মানুষটি কাপড় কিনে গ্রামে তার বাচ্চা, মা-বাবার জন্য কিনে পাঠিয়ে দিতো। এখন আগের মত শীতও নেই, সেই কেনাবেচার উৎসবও যেন নেই।”