বড়দিন আমাদের মনকে বড় করার দিন। পাপের অন্ধকারে নিপতিত মানুষের জন্য আশা ও আলোর জীবনের পথরূপে স্রষ্টা সৃষ্টিতে এলেন। খ্রিষ্ট বলেছেন, 'যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে' (মথি ৭:২১)। ঈশ্বরের ইচ্ছা কী? বাইবেলের পুরাতন ও নতুন নিয়ম উভয় স্থানেই এ প্রশ্নের উত্তরে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ এই- আমরা যেন আমাদের জীবনের সবকিছুতেই ঈশ্বরকে সম্মান করি এবং অন্য মানুষকে আত্মতুল্য প্রেম করি। কিন্তু লোভ, হিংসা ও অশুভ প্রতিযোগিতার যূপকাষ্ঠে আমাদের অনেক ধর্মীয় মূল্যবোধ আজ অবহেলিত। লোভ, হিংসা ও অন্যায়-অবিচার নতুন কিছু নয়।
সবচেয়ে বড় উৎকণ্ঠার একটি কারণ ধর্মীয় শিক্ষার অপব্যাখ্যা ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ। হান্স কাঙ নামে একজন জার্মান ঈশতত্ত্ববিদ বলেছেন, 'দ্য মোস্ট ফ্যানাটিক্যাল, দ্য ক্রুয়েলেস্ট পলিটিক্যাল স্ট্রাগলস আর দোজ দ্যাট হ্যাভ বিন কালার্ড, ইন্সপায়ার্ড অ্যান্ড লিগিটিমাইজড বাই রিলিজিয়ন।' মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় মনুষ্যত্বে। তা দিয়েই আজ মানুষের অন্য মানুষকে বিবেচনা করা জরুরি। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্ম-সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছিল আমাদের বড় এক বৈশিষ্ট্য; এখনও তা সাধারণ অর্থে বিরাজমান।