ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী এলমা চৌধুরী মেঘলার কালশিটে জমে যাওয়া মরদেহের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েক দিন ধরে যেন আর্তনাদ করে ফিরছে। মাত্র এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন এলমা, নিজের পছন্দে। স্বামী কানাডাপ্রবাসী যুবক ইফতেখার আবেদীন, যিনি আমাদের সমাজের অপেক্ষাকৃত সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির সন্তান। এলমা মারা যান ১৪ ডিসেম্বর। এর সপ্তাহখানেক আগে দেশে ফেরেন ইফতেখার। এলমাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
কতটা নৃশংস নির্যাতনে এলমার মৃত্যু হয়েছে, তার বিবরণ পাওয়া যায় পুলিশের করা সুরতহাল প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘মেঘলার ওপরের ঠোঁটে কালচে জখম, নাকে আঘাতের চিহ্ন ও কালশিটে জখম রয়েছে। এ ছাড়া ঘাড়ে লম্বালম্বি কালচে জখম, গলার উপরিভাগে, থুতনিতে, পিঠের ডান পাশে, বাম পায়ের বুড়ো আঙুলে কালচে জখম। দুই পায়ের হাঁটুর নিচেও জখমের চিহ্ন রয়েছে।’