মোটামুটি উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্ম হলেও বড় চাচা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন যখন আমি ক্লাস টুতে পড়ি। কারণ, আমার বাবা আলাদা ব্যবসা শুরু করেছিলেন। এদিকে ব্যবসায়ের সমিতির কাগজে কার্বন রেখে সই করিয়ে সেটিও চাচা তাঁর এক ছেলের নামে করে ফেলেছিলেন। সে সময় এসব করা সহজ ছিল। আর আমার চাচা নিজের বোনেরা বিপদে পড়লে তাঁদের পৈতৃক সম্পত্তির অংশ অর্ধেক দামে বিক্রি করে সাহায্য করা মানুষ। বলছি ১৯৯৯ সালের কথা। এরপর আমাদের জীবনে মধ্যবিত্ত দশার সূত্রপাত হয়। এরপর থেকে কষ্ট, মায়ের অসুস্থতা, বাবার মেজাজ আর মার খেয়ে কম বয়সেই মানসিক বয়স বেড়ে যায়। বাবা-মায়ের কাছে কখনো কিছু চাইনি। পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো না কেন, সে জন্য মার খেয়েছি। আর অনেক সময় অকারণেই বাবা মেরেছেন। বাবা তো মারতেই পারেন! তিনি যা বলেন একবারে তা না শুনলেই সমস্যা।