রটারডামের বন্দরে যাওয়ার পথ লাল ইটে বাঁধানো। পথে পড়বে সার বেধে দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো বাড়ি, স্বচ্ছ জলের খাল আর সাবেকি ধাঁচের সুরিনামি রেস্তরাঁ। চোখ কাড়বে গরুর পাল, ঘাস চিবুচ্ছে। বন্দরে দাঁড়াতেই সমুদ্রের বাতাস এসে গা জুড়িয়ে দেবে। ক্রেনে মাল উঠছে আর নামছে, না চাইলেও সেটি আপনার চোখে পড়বে। গরুর পাল কিন্তু এখানেও আরামে চড়ে বেড়াতে দেখবেন। রটারডামের ভাসমান খামার যেটি বিশ্বে প্রথম বলেই ধরা হয়, এমনভাবে গড়া হয়েছে যেন সমুদ্রের পানির হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। বৃষ্টির পানি ধরে রেখে এখানে গরুর পানীয় জলের প্রয়োজন মেটানো হয়। চালু হওয়ার পর থেকেই খামারটি অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চলেছে প্রতিদিন। সাগর পাড়ি দেওয়া ও গবাদিপশু পালন ডাচদের ঐতিহ্য।