মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত অনেক স্থানের কথাই আমাদের অজানা। যেসব স্থান চিহ্নিত হয়েছে সেগুলোও অরক্ষিত। কিছু স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ, স্মৃতিফলক, ভাস্কর্য, বিজয়স্তম্ভ কিংবা নামফলক থাকলেও তা পড়ে আছে অযত্নে-অবহেলায়। এখনও অনেক স্থান চিহ্নিত করা হয়নি কিংবা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র দিনাজপুর সদর উপজেলায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ৫০৫টি স্মৃতিস্থান। এর মধ্যে ১০টি সংরক্ষিত। বাকি ৪৯৫টি স্মৃতিস্থান অরক্ষিত। এসব স্থানে স্মৃতিসৌধ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্টরা।
সম্প্রতি দিনাজপুরে গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবর জরিপ করেছেন দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মোজাম্মেল বিশ্বাস। তার জরিপ ও গবেষণায় জেলায় ১৮৬৭টি গণহত্যার নিদর্শন তুলে ধরেছেন। যদিও এতদিন সবার জানা ছিল, জেলায় অন্যায়-অত্যাচার-নির্যাতন, গণহত্যা, বধ্যভূমি ও গণকবরের সংখ্যা ৫৫-৫৬টি।