‘বাঙালি বিস্মৃতিপ্রবণ জাতি’-প্রবাদের মতো উচ্চারিত কথাটি প্রায়ই শোনা যায়। শুনতে শুনতে মনে হয়, বাঙালির জন্য বিস্মৃতি কোনো দোষ নয়, বরং মহিমান্বিত করার মতো বিশেষ ব্যাপার। আদতে বাঙালি বুঝতেই পারে না তার ইতিহাস, আদর্শ ও ভবিষ্যতকে। কিন্তু ফাঁপা গর্বের বিরাট বোঝা কাঁধে নিয়ে বাঙালি বরাবরই আনন্দে উচ্ছ্বসিত থাকে। কে তাকে ধরিয়ে দেবে, বিশ্ব-ইতিহাসের বিশাল সভায় তার আসনটি অত্যন্ত দুর্বল।
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীকে স্মরণ করতে গিয়ে এই কথাগুলো মনে এলো। কারণ অসম্ভব প্রতিভাধর বহুপ্রান্তস্পর্শী এই ব্যক্তিত্বকে আমরা হৃদয় ও মস্তিষ্ক দিয়ে মনে রাখিনি। একজন সৃষ্টিশীল লেখক, চিত্রকর, সম্পাদক কিংবা পুস্তক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার যথার্থ মূল্যায়ন হয়নি। প্রয়োজনীয় আলো ফেলে দেখা হয়নি বাঙালির সাংস্কৃতিক ভিত্তি নির্মাণে তার ভূমিকাকে।