খুন করার পর আলামত নষ্ট করতে লাশ রেললাইনে ফেলে দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর পেছনে যে কৌশল কাজ করে সেটি হলো, ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর বিষয়টি প্রমাণ করতে পারলে দুর্ঘটনার তদন্ত হবে, হত্যাকাণ্ডের নয়। ট্রেনে কাটা পড়া লাশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় খুন হওয়া ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। রেলওয়ে পুলিশের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৬-২০২০ সাল) ৪ হাজার ৪৪৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে রেললাইনে। এর মধ্যে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে উদ্ধার করা লাশের মধ্যে ১০২ জনের মৃত্যুর কারণ ট্রেনে কাটা পড়ে নয়, তাঁরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।
তবে রেল পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে খুনের ঘটনা আরও অনেক বেশি হবে। তদন্তের দুর্বলতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা না থাকা, লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে না পারা এবং অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার আন্তরিকতার ঘাটতির কারণেও অনেক খুনের ঘটনা শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনা হিসেবেই রয়ে যায়। অপমৃত্যুর মামলা করেই দায় সারা হয়।