শেকসপিয়রের কালজয়ী নাটক ‘হ্যামলেটে’র প্রথম অঙ্কে রাজপ্রাসাদের প্রহরীকে ঘোর অমানিশার মাঝে দাঁড়িয়ে বলতে শোনা যায়, ‘Something is rotten in the state of Denmark’। রাজহত্যা, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা আর মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে ছা-পোষা এক প্রহরীর ছোট মন্তব্য পাঠককে হ্যামলেট নাটকের পুঁতিগন্ধময় রাজনীতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। শেকসপিয়রের মুনশিয়ানা এই লেখার মূল উদ্দেশ্য নয়। কথা হচ্ছে, অমানিশা আর অনিশ্চয়তার মাঝে দাঁড়িয়ে ডেনমার্কের এই প্রহরীর যে ‘আত্মজিজ্ঞাসা’, তা আজকের বিশ্বমোড়ল আমেরিকার জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সম্প্রতি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া ভাষণে গণতন্ত্রের কথিত চ্যাম্পিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার (ইউডিএইচআর) প্রতি বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বিশ্বকে নিরাপদ ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকারও করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সবার প্রতি নজর রাখতে গিয়েই বোধহয় যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের অভ্যন্তরীণ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন হয়ে পড়েছে; যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে মার্কিন পুলিশ বাহিনীর হাতে প্রতিনিয়ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায়। ডেনমার্কের মতোই নিজ ঘরে পচনের উৎস খুঁজে বের করা তাই অত্যন্ত জরুরি।