আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালিবান সরকার রবিবার ৫৭-জাতির অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন বা (ওআইসি) এর একটি বিশেষ বৈঠকে আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা জাতীয় রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে এবং দেশে নারীসহ মানবাধিকারের প্রচারে আরও বেশি কাজ করবে। তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি পাকিস্তানে দিনব্যাপী ওআইসি সম্মেলনে তার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
২০ বছর পর দেশ থেকে আমেরিকান নেতৃত্বাধীন বিদেশী সৈন্য প্রস্থানের পর, তালিবান আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে, আফগানিস্তানের মানবিক বিপর্যয় রোধে সাহায্য করার জন্য এটি ছিল বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সমাবেশ। মুত্তাকী বলেন, “আমরা মানবাধিকার, নারীর অধিকার এবং বিভিন্ন অঞ্চলের সমস্ত সক্ষম আফগানদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাকে আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি। আমরা এই বিষয়ে অনেক কিছু করেছি এবং আরও পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখব”।
তালিবানের প্রধান এই কূটনীতিক তার সরকারের সন্ত্রাস দমনের আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, কোনো দেশের বিরুদ্ধে আফগান মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমা মিত্ররা আফগানিস্তানের প্রায় ৯.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করেছে, যার বেশিরভাগই ইউএস ফেডারেল রিজার্ভে রয়েছে। উপরন্তু তাঁরা আফগানিস্তানের উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটির বৃহত্তর বিদেশী সাহায্য-নির্ভর অর্থনীতিতে মানবিক সহায়তা ছাড়া বাকি সাহায্য বন্ধ করেছে।