জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার। দূষিত হচ্ছে ভূউপরিস্থ পানি। ক্ষতির মাত্রা বিবেচনায় বেশকিছু কীটনাশকের আমদানি ও ব্যবহার এরই মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি আবার নিষিদ্ধ হয়েছে প্রায় দুই যুগ আগে। যদিও এখনো দেশের বিভিন্ন জেলার ভূউপরিস্থ পানিতে সেগুলোর উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায়ও উঠে এসেছে, দেশের ১৯ জেলার ভূউপরিস্থ পানিতে অত্যন্ত বিপজ্জনক মাত্রায় কীটনাশকের ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
দেশে মূলত ধান আবাদের ক্ষেত্রেই কীটনাশকের ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। ব্যবহারের পর এ কীটনাশক গিয়ে জমা হচ্ছে নালা, পুকুর, খাল, বিল ও নদীর পানিতে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব কীটনাশকের কার্যকারিতা থাকছে বছরের পর বছর। যে ১৯ জেলার ভূউপরিস্থ পানিতে এসব কীটনাশকের বিপজ্জনক মাত্রায় উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, সেগুলো হলো—কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেট, ঢাকা (সাভার ও ধামরাই), শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা ও মেহেরপুর।