করোনার মধ্যে ৭৮ শতাংশ পরিবার আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে পড়েছে। এর মানে, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি পাঁচ পরিবারের চারটিই এমন সংকটে পড়েছে। তবে চর ও উপকূলীয় অঞ্চলে এই দুরবস্থা বেশি প্রকট। পরিবারগুলোর গড়ে ১৯ শতাংশ আয় কমেছে। করোনার প্রথম দিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার কারণে ৭০ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য কাজ হারিয়েছেন। অবশ্য পরে তাঁদের ৯৭ শতাংশ আবার কাজ ফিরে পেয়েছেন।
জরিপমতে, সংসারের খরচ চালাতে সঞ্চয় ভাঙতে হয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ পরিবারকে। গড়ে তারা ৩৪ হাজার ৪৬২ টাকার সঞ্চয় ভেঙেছে, যা তাদের পাঁচ মাসের সঞ্চয়ের সমান। আর যাদের সঞ্চয় নেই, তারা ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪৮ শতাংশ পরিবারকে ঋণ নিতে হয়েছে। এসব পরিবার গড়ে ৫২ হাজার ৫৩৩ টাকা ঋণ নিয়েছে। এখন সেই ঋণের জালে চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আটকে থাকতে হবে তাদের।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনের প্রথম দিনে গতকাল রোববারের একটি অধিবেশনের মূল প্রবন্ধে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ইশতিয়াক বারি ‘বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিমারি মোকাবিলা ও খানা জরিপের ফলাফল’ তুলে ধরেন।