স্বাধীনতা পরবর্তী চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় কার্পেট কারখানা সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড। প্রথম দুই দশক রপ্তানিমুখী গ্রুপটির চারটি কারখানা ভালো ব্যবসা করে। কিন্তু পরবর্তীতে ক্রমাগত লোকসান ও আর্থিক সংকটের ফলে এক সময় বন্ধ হয়ে পড়ে সালেহ কার্পেটের ৪ টি কারখানা। কারখানাগুলোতে বিনিয়োগকৃত টাকা উদ্ধারে ২০০৪ সালে অর্থঋণ মামলা দায়ের করে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। কিন্তু মামলা দায়েরের দীর্ঘ ১৭ বছরেও উদ্ধার হয় নি ব্যাংকটির পাওনা ২৯৭ টাকা।
১৯৭৭ সালে একটি রপ্তানিমুখী পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে গড়ে উঠে সালেহ কার্পেট মিলস লিমিটেড। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারি এলাকায় প্রায় ১৩ একর নিজস্ব জমি নিয়ে গড়ে উঠে সালেহ কার্পেটসহ আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান। সোনালী ব্যাংকের চলতি মূলধন ঋণ সহায়তায় উৎপাদন শুরু করে কারখানাগুলো। এমনকি ব্যাংকের টাকায় দীর্ঘদিন ভালো ব্যবসাও করে প্রতিষ্ঠানগুলো। পরবর্তীতে ২০০০ সালের পরে লোকসান শুরু হয় কারখানাগুলোতে। এরপর আটকে যায় ব্যাংকের টাকাও।