করোনাক্রান্ত হয়ে পত্রপত্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় নেই বললেই চলে। তবু অভ্যাসের কারণে মাঝেমধ্যে কাগজে চোখ বুলাতে হয় এবং অনেক সংবাদে নৈরাশ্য মনকে বিবশ করে। আনন্দ যে একেবারে নেই, এমনটাও বলা যায় না। সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত দুটি সম্পাদকীয়-পরবর্তী নিবন্ধ মনোযোগ দিয়ে পড়েছি, উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি। একটি বস্তুনিষ্ঠ লেখা 'রাজনীতির এক ভুলে হয়ে যায় সর্বনাশ'-এ নিবন্ধকার যথার্থই নির্দেশ করেছেন 'বঙ্গবন্ধু একটা জীবন কাটিয়ে দিলেন মোশতাকের মতো নষ্ট, ভণ্ডকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে, তাকে পাশে রেখে।'
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরকারে থেকেও নানাভাবে মোশতাক পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করে প্রবাসী সরকার ও মুক্তিসংগ্রামকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও যথোচিত ব্যবস্থা নেওয়ায় মোশতাকের দুরভিসন্ধি ফলপ্রসূ হয়নি। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু যেসব সামরিক কর্মকর্তার ওপর আস্থা রেখেছিলেন, তাদের অনেকে জাতির পিতার আপৎকালে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেননি কিংবা করেননি। সুবিধাভোগীরা এখন নিজেদের সাফাই গাইছেন- যা স্বাভাবিক।