হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া কুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে গতকাল বিকেলে টেলিফোনে কথা হলো। শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না যে কর্তৃপক্ষ এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে দেবে। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় আমাদের জানানো হয় বিকেল চারটার মধ্যে হল ছাড়তে হবে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট চার হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮০০ মেয়ে। ছেলেরা যেকোনো জায়গায় থাকতে পারেন। কিন্তু মেয়েরা কোথায় যাবেন? অনেকেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। একসঙ্গে বাসে–ট্রেনেও এত টিকিট পাওয়া যায় না। ফলে যাঁরা টিকিট পেয়েছেন, তঁারা খুলনা ত্যাগ
করতে পেরেছেন। যঁারা পাননি, খুলনার স্থায়ী বাসিন্দা সহপাঠী ছাত্রীদের বাড়িতে রাতের জন্য আশ্রয় নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ একটু সদয় হলে মেয়েদের এ রকম সমস্যায় পড়তে হতো না।’