হাফ পাসের দাবিতে চলছিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাঝে রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে মোড় নিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। শুধু তাই নয় এই সময়েই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। হাফ পাসের দাবি মেনে নেয়া হলেও এর শর্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়েছে শিক্ষার্থীদের তরফে। এই দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে সড়কে আন্দোলন করছেন তারা। আন্দোলন ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজধানীর বাইরে। গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। রামপুরা থেকে শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য আন্দোলন কিছুটা সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা দাবি নিয়ে সড়কে থাকলেও তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত আলোচনার কোনো বিষয় সামনে আসেনি। সহপাঠী দুর্জয় হত্যার বিচার দাবিতে টানা দ্বিতীয়দিন সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। করেন লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা। গতকাল আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা ১১ দাবি উত্থাপন করেন। এগুলো হলো-সড়কে নির্মম হত্যার শিকার নাঈম ও মাঈন উদ্দিনের হত্যার বিচার করতে হবে। তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে; সারা দেশে সকল গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ পাসের জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেয়া যাবে না। বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সকল রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে; গণপরিবহনে ছাত্র-ছাত্রী এবং নারীদের অবাধ যাত্রা ও সৌজন্যমূলক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে; ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালককে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিআরটিএ’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; সকল রাস্তায় ট্রাফিক লাইট, জেব্রা ক্রসিং নিশ্চিত করাসহ জনবহুল রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক পুলিশের ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে; বাসগুলোর মধ্যে বেপরোয়া প্রতিযোগিতা বন্ধে এক রুটে এক বাস এবং দৈনিক আয় সকল পরিবহন মালিকের মধ্যে তাদের অংশ অনুযায়ী সমানভাবে বণ্টন করার নিয়ম চালু করতে হবে; শ্রমিকদের নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র নিশ্চিত করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে। চুক্তিভিত্তিতে বাস দেয়ার বদলে টিকিট ও কাউন্টারের ভিত্তিতে গোটা পরিবহন ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিশ্রামাগার ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে; গাড়ি চালকের কর্মঘণ্টা একনাগাড়ে ৬ ঘণ্টার বেশি হওয়া যাবে না। প্রতিটি বাসে দুইজন চালক ও দুইজন সহকারী রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বাস টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে। পরিবহন শ্রমিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে; যাত্রী-পরিবহন শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে সড়ক পরিবহন আইন সংস্কার করতে হবে এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে; ট্রাক, ময়লার গাড়িসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় নির্ধারিত করে দিতে হবে ও মাদকাসক্তি নিরসনে গোটা সমাজজুড়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। চালক-সহকারীদের জন্য নিয়মিত ডোপ টেস্টের ও কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।গতকালের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সময় তারা যানবাহনের কাগজপত্র ও লাইসেন্স পরীক্ষা করেন। যাদের লাইসেন্স নেই তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। লাইসেন্স ও কাগজ পরীক্ষা নিয়ে বেশ কয়েকবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের একটি গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন কাগজ না দেখিয়ে তাদের ধাক্কা দেয়া হয় এবং লাঠি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। এই ঘটনার পরে জড়ো হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এরপর কাগজ দেখতে চাইলে দেখেন লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে তার। শিক্ষার্থীরা গাড়ি ঘিরে ধরে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন। এ নিয়ে চলে বাকবিতণ্ডা। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন শিক্ষার্থীরা। আঘাত পাওয়া শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান রাফিকে পুলিশ বক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। খিলগাঁও সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, গাড়ির কোনো কাগজ ছিল না। আমরা চেক করতে গেলে আমাদের রুখে দেবার চেষ্টা করা হয়। ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। যা আমার হাতে লাগে। রাফির হাত থেকে কিছুটা রক্ত ঝরতে দেখা যায় এবং তার শার্টেও ছিল সেই রক্তের ছাপ।বৈধ কাগজ না থাকায় পুলিশের এই গাড়িটির বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। সহকারী পুলিশ কমিশনার খন্দকার রেজাউল হোসাইন বলেন, গাড়িটি এমটি সেকশনের। যখন যার প্রয়োজন হয় তখন তিনি ব্যবহার করেন। গাড়ি চালকের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এই ঘটনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা পুলিশ সদস্যদের অন্তত দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি, দুটি অফিসিয়াল গাড়ি ও অন্তত ৪টি মোটরসাইকেল লাইসেন্সবিহীন বের করেন। আর কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়িরও লাইসেন্স না থাকায় আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। সেইসঙ্গে দুটি বিআরটিসি বাস আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। রাইদা পরিবহনের একটি বাসকে ঘিরেও তৈরি হয় উত্তেজনা। বাসের চালকের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান শিক্ষার্থীরা। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছে হাফ পাস রাখা হচ্ছে কিনা এ নিয়েও বাধে বিতণ্ডা। এ সময় এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন গাড়ির হেলপার তার গায়ে হাত তুলেছেন। এরপর উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা হেলপারকে নিয়ে যায় পুলিশ বক্সে। চালক পালিয়ে যান সেখান থেকে। পরে অবশ্য নিজে থেকেই আসেন পুলিশের কাছে। রাইদা পরিবহনের বাসটি ভাঙার জন্য কিছু শিক্ষার্থী চেষ্টা করলে তাদের থামিয়ে দেন অন্য শিক্ষার্থীরা।বেলা ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা দিনের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে ঘোষণা করেন পরবর্তী কর্মসূচি। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এইচএসসি পরীক্ষার দিন সড়ক অবরোধ করা হবে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিন পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করবেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। এই মানববন্ধন হবে নিরাপদ সড়কের দাবি ও শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিনের মৃত্যুর প্রতিবাদে। পরবর্তী কর্মসূচি আজ জানিয়ে দেয়া হবে।একই দাবিতে রাজধানীর শান্তিনগর ও মতিঝিল মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। শান্তিনগর মোড়ে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সবুজবাগ সরকারি কলেজ, খিলগাঁও আইডিয়াল কলেজসহ আশপাশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা। আর মতিঝিলে যানচলাচল সীমিত করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে সেখানে তারা বিক্ষোভ দেখান এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। মতিঝিলেও শিক্ষার্থীরা যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। যাদের কাগজ পত্র নেই তাদের পুলিশের কাছে নিয়ে জরিমানা ও মামলার জন্য নিয়ে যান।নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পরছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গাজীপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা জেলার সাভারে হয়েছে আন্দোলন। স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, গণপরিবহনে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করন ও নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাজবাড়ী সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জেলা জেলা সংসদের সভাপতি দিদারুল ইসলাম শিশির, সাধারণ সম্পাদক সজীব শাহ্? সরদারসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। তারা অবিলম্বে হাফ ভাড়ার দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, প্রায় ৫৯ বছর আগে ১৯৬২ সালে যেসব দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে হয়েছে, সেসব দাবি নিয়ে এখনও আন্দোলন করতে হচ্ছে, অথচ আমরা নাকি ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হয়েছি।স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম থেকে জানান, গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবিতে চট্টগ্রামে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ঢাকায় হাফ পাস কার্যক্রম করলেও চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নেয়াকে বৈষম্য বলে দাবি করেন। বুধবার সকাল ১১ টায় নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শুধু ঢাকায় হাফ পাস কার্যকর করলেও চট্টগ্রামের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। এখানেসহ সারাদেশেই তা কার্যকর করতে হবে। এই বিষয়ে কোন বৈষম্য মেনে নেয়া হবে না।বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, চট্টগ্রাম দেশের বন্দরনগরী। এখানে আছে হাজার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না নেয়া মানে আমাদের প্রতি বৈষম্য করা। এটা কোনভাবেই মানা হবেনা। আর কোন ধরনের শর্তসাপেক্ষে হাফ ভাড়াও আমরা মানিনা।এদিকে রোববার সকালে চট্টগ্রামে যৌথ সভা ডেকেছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এতে জাতীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহসহ পরিবহন মালিকদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে হাফ ভাড়ার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা যায়।চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান মানবজমিনকে বলেন, রোববার চট্টগ্রামে আমাদের জরুরী সভা আছে। সেখানে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সড়ক পরিবহন মালিকদের বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে আমরা ছাত্রদের দাবিসহ আমাদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করবো।স্টাফ রিপোর্টার সাভার থেকে জানান, সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত পরিবহনের চাপায় এক স্কুল শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা গার্মেন্টেসর সামনে এ সড়ক অবরোধ করেন তারা। এসময় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসের সড়ক ছেড়ে দেয় তারা। অবরোধ চলাকালীন শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকটি গাড়ির লাইসেন্স ও ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করেন।বিক্ষোব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, সকালে মর্নিং গ্লোরী স্কুলের ছাত্র আতিককে অজ্ঞাত একটি পরিবহন চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় তাকে মুমূর্ষ অবস্থা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবরটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সবাই সড়কে নেমে আসেন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা সাভার রাজালাখ ফার্মের সামনে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখলে পরে পুলিশ এসে তাদেরকে সড়িয়ে দিয়ে যান চলাচলে স্বাভাবিক করেন।অবরোধে অংশ নেয়া শরিফুল হক নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ পর্যন্ত সড়কে দুর্ঘটনায় কোন শিক্ষার্থী বা কেউ মারা গেলেও কোনো বিচার হয়নি। আমাদের এক বন্ধুকে গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। আমাদের কি নিরাপত্তা আছে? সেই গাড়ি চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও বড় কর্মসুচিতে যাবো।এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই এডমিন) আব্দুস সালাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কথা শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাসের মাধ্যমে তাদের সড়ক থেকে সরাতে সক্ষম হই। ইতিমধ্যে সেই পরিবহনটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।