প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০২১ প্রণয়নের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৩৬ নাগরিক। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশ শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রায় শতভাগ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিতকরণ, ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ভর্তির ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ের সমতা, উপবৃত্তি এবং বছরের প্রথম দিনে উৎসব আয়োজন করে নতুন বই বিতরণ যার মধ্যে অন্যতম। এ জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
আমরা লক্ষ করেছি, বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য বিনামূল্যে বই প্রদানের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে 'গাইড বই' ব্যবহারের প্রবণতা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। একইভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় সঙ্গত কারণেই শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে পরীক্ষা ও বইয়ের বোঝা কমানোর ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনার প্রতিফলন আমরা লক্ষ করেছি ২০২১ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত 'জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায়'। যেখানে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা রাখা হয়নি— এটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ নাগরিক সমাজের একটি অন্যতম প্রত্যাশিত বিষয় ছিল। এমনকি জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষাকে 'পাবলিক পরীক্ষা' হিসেবে ধরা হয়নি। এর পরিবর্তে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে উপজেলা, পৌরসভা বা থানা পর্যায়ে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।