রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় সব আসামিকে খালাস দেওয়ার রায়টা ভিকটিমের জন্য বিস্ময়কর ও খুবই দুঃখজনক। নারীসমাজ এই রায় মেনে নিতে পারে না। এমন রায় হলে ন্যায়বিচারের জন্য ভবিষ্যতে কোনো ভিকটিম আদালতে মামলা করতে যাবেন না। তারা নিরুৎসাহিত হবেন এবং অনিরাপদ বোধ করবেন।
ঢাকার একটি আদালতে বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলার যে রায় দেওয়া হয়েছে, তাতে অপরাধীরা শুধু পার পেয়ে যাবে না, অপরাধ করতে উৎসাহ বোধ করবে। এ ধরনের রায় নারীসমাজ কিছুতেই মেনে নিতে পারে না।
কারণ, রায়ে একজন ভিকটিমকে যৌনকর্মী বানানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। যে নারী-কিশোর বা শিশু ধর্ষণের শিকার হন, প্রথমেই তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে ট্রমায় চলে যান। ধর্ষণের পর বেশিরভাগ ভিকটিম পরিবার এবং তার আত্মীয়স্বজন ও পারিপার্শ্বিকের কারণে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়। পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ ভিকটিমকে দীর্ঘ সময় আটকেও রাখা হয়। তারা সমাজচ্যুত হয়ে পড়ে।