সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা ছাড়াও দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায় অনেকগুলো ইউনিটেই শতকরা প্রায় ৯০ জন ছাত্রছাত্রী পাস নম্বরই পায়নি। এটি দুঃখজনক এবং আমাদের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান দৈন্যের স্মারক। আবার দেখা গেছে পরীক্ষায় মাদ্রাসশিক্ষার্থীদের অনেকে তুলনামূলক ভালো ফল করেছে। এই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নানামুখী আলোচনা চলছে।
অনেকেরই অভিযোগ, মাদ্রাসা থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণ ইংরেজি ভাষায় নিম্নমানের ছাত্রছাত্রীরা ক্রমবর্ধমান হারে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাঁরা মনে করেন, মূল্যায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল থেকে বিবেচনার জন্য ৮০ নম্বর নেওয়া হয় বলে মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা সুবিধা পেয়ে যায়। দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় তারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের চেয়ে অনেক বেশি নম্বর পায় বলে একটি ধারণা অনেকের মধ্যে রয়েছে।