মহল্লার দোকান কিংবা বাজারে কেনাকাটা এখন আর প্রতিদিন হয়ে ওঠে না। সপ্তাহে একদিন ঢুঁ দেওয়ার চেষ্টা করি। কেনার চেয়ে আড্ডা হয় বেশি। দোকানি তো আছেনই, মহল্লার মানুষের সঙ্গেও সম্মিলনটা ভালো হয়। পাওয়া যায় একেবারে হাঁড়ির খবর। কার অসুখ ছিল শরীরে। মনের অসুখে ভুগছেন কারা। পুরনো কোন বাড়িটা চলে গেলো ডেভেলপারের দখলে।
কে চলে গেলেন মহল্লা ছেড়ে, ছেড়ে গেলেন পৃথিবী। এসব খোঁজ-খবরের মধ্যেই জানা হয়ে যায় চাকরি হারিয়ে ঘরে বসে থাকা বন্ধু বা প্রিয়মুখের কথা। কেউ কেউ অভিমান ও ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আর পেরে উঠছেন না। ব্যবসায় মন্দা, চাকরির বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু পাতের খাবার, সন্তানের স্কুলের বেতন, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ-গ্যাস বিল, পরিবারের চিকিৎসা, যাতায়াত ব্যয় নিয়মিতই রয়ে গেছে। সেই নিয়মিত চাহিদার জোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে।