বাজির সূচনা হয় খ্রিস্টপূর্ব দু’শো বছরেরও আগে। একদা বাজি ব্যবহৃত হত শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইতে ও অশুভ আত্মার দূরীকরণে। দীপাবলির উৎসবে বাজি ব্যবহারের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য তৈরি হয়েছে। মানুষ বাজি নিয়ে মাতামাতি করলেও এর কুফল নিয়ে ভাবিত নয়। বাজির জ্বলনে নাইট্রাস অক্সাইড দীর্ঘ সময় ধরে বায়ুমণ্ডলে থেকে বায়ু দূষিত করে, যা কেবলমাত্র ভারী বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়েই পরিশুদ্ধ হয়। শব্দদূষণের জেরে প্রবীণ নাগরিকদের হার্টের সমস্যা বেড়ে যায়। বাজির বর্জ্য দূষণ ছড়ায়। বাজির জেরে বিশাল অগ্নিকাণ্ডের কথা সুবিদিত। গর্ভবতী নারী ও গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির কথাও জানা যায়। দূষিত বায়ুর জন্য কমবেশি সকল নাগরিকের নিশ্বাসে বিস্তর অসুবিধা হয়। গৃহপালিত পশুরাও বাজির শব্দে সন্ত্রস্ত হয়।বাজিতে ব্যবহৃত তামা হার্টে প্রদাহ তৈরি করে ও ক্যাডমিয়াম রক্তে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা দেয়।