গাজীপুরের কাউলতিয়া মধ্যপাড়ায় শামসুন্নাহার বেগমের (৩৯) ছোট পোলট্রির খামার। শীতের সময়, অর্থাৎ তিন থেকে চার মাস তাঁর খামারে মুরগি থাকে দেড় থেকে দুই হাজার। বাকি সময়টায় মুরগির সংখ্যা থাকে ৯০০ থেকে ১ হাজার।
শামসুন্নাহারের স্বামী একটি সোয়েটার কারখানায় কাজ করেন। স্বামী, এক সন্তান ও মাকে নিয়ে শামসুন্নাহারের সংসার। ছোট খামারটি ভালোই চলছিল। কিন্তু করোনাকালে অন্তত ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি এখনো পোষাতে পারেননি। এক হাজারের কম মুরগির এসব ছোট খামারের সাধারণত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকে না। তাঁরও নেই। আর তা না থাকায় করোনাকালে সরকারি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। করোনাকালের এ বিঘ্ন এখন কিছুটা কাটলেও, তাঁর মতো খামারিদের সার্বক্ষণিক সমস্যাগুলো রয়েই গেছে। বড় প্রতিবন্ধকতা হলো বাজারজাতকরণ। তিনি মুরগি বিক্রি করেন ডিলারের কাছে। যে ডিলার খাদ্য ও বাচ্চা সরবরাহ করেন, তাঁর কাছেই মুরগি বিক্রি করতে হয়।