আমরা ছোটবেলায় মাঝেমধ্যে গাছের পাতাকে টাকা বানিয়ে অদৃশ্য কেনাবেচা খেলা খেলতাম। সেই সময় নিয়ম ছিল, যেই গাছের পাতা সংগ্রহ করা যত কঠিন, সেই গাছের পাতার দাম তত বেশি এবং যেই গাছের পাতা যত সহজলভ্য, সেই গাছের পাতার দাম তত কম। আমাদের মধ্যে তখন এক্সচেঞ্জ রেটও চালু ছিল। যেমন তিনটি কাঁঠালপাতার বিনিময়মূল্য ছিল একটি জবাপাতা। সমস্যা বাধত তখন, যখন একটি বাড়িতে জবাগাছ বেশি থাকত বা কাঁঠালগাছ কম থাকত। সেই সময় পারিপার্শ্বিকতার সঙ্গে সঙ্গে এক্সচেঞ্জ রেটও পরিবর্তন করতে হতো।
বড় হয়ে বিশ্বের একেকটি দেশের মুদ্রাকে ছোটবেলার ভিন্ন ভিন্ন গাছের পাতার মতোই মনে হলো। যেমন নরওয়েতে ক্রোনা, রাশিয়াতে রুবল, ভারতে রুপি, বাংলাদেশে টাকা। একটি দেশের নাগরিকেরা যখন দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বাণিজ্য করেন, সেটি দেশীয় মুদ্রাতে লেনদেন হয়ে থাকে। কারণ, দেশের ভেতরে লেনদেনের সাধারণ মাধ্যমই হচ্ছে দেশীয় মুদ্রা। কিন্তু দুটি ভিন্ন মুদ্রার দেশ পরস্পর লেনদেন করবে কীভাবে?