চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি এখন নড়াচড়া করছেন। সোমবার সকালে হালকা খাবারও খেয়েছেন। আকিবের চিকিৎসার বিষয় তদারকি করা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ডা. আ. ম. ম. মিনহাজুর রহমান সোমবার সন্ধ্যায় মানবজমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আঘাতের কারণে আকিবের ব্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমে গিয়েছিল। অপারেশন করে সেগুলো সরানো হয়েছে। আর ঘটনার পর থেকে সে সেন্সলেস ছিল। রোববার বিকালে তার জ্ঞান ফিরে আসে। এখন নড়াচড়া করছেন। পরিচিতদের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন।’ তিনি বলেন, আকিবকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইটি সফল অপারেশন হয়েছে। তবে মাথার যে হাড়টা খুলে রাখা হয়েছে সেটি এখনো প্রতিস্থাপন করা হয়নি। সে আরেকটু সুস্থ হলে সবার সঙ্গে পরামর্শ করে সেটাও হবে। আকিব এখন আশঙ্কামুক্ত কিনা জানতে চাইলে এই চিকিৎসক নেতা বলেন, ‘এখনো পুরোপুরি সেটা বলা যাবে না। এমন রোগীদের হঠাৎ করে ইনফেকশন হয়। তখন বিষয়টি খুব রিস্ক হয়ে যায়। তবে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একটি মেডিকেল টিম সে পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক নজরে রাখবে। তবে সবচেয়ে যেটা সুখবর সেটি হচ্ছে, আকিব মানসিকভাবে সুস্থ আছে। স্মৃতিশক্তি ঠিক আছে। ইনশাআল্লাহ সে দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরবেন। উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২০২০ সাল থেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এদের এক পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিনের অনুসারী। আরেক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের অনুসারী। দুই পক্ষের বিরোধের জেরে চলতি বছরে দু’দফা ক্যাম্পাসে সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে কর্মকাণ্ড চালাতে থাকে তারা। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মোট ৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আকিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। আর এই ঘটনার জেরে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।