‘কৌরবদের আমি মারিয়াই রাখিয়াছি, অর্জুন নিমিত্তমাত্র’—শ্রীকৃষ্ণের এই কথার মর্মার্থ ‘বোন টু বোন’ অর্থাৎ হাড়ে হাড়ে আরও একবার টের পাওয়া গেল পাটুরিয়ার ঘাটে এসে ফেরি ডোবার পর। জাতি টের পাচ্ছে, আর কিছু না হোক, শ্রীকৃষ্ণের অন্তত এই বাণীটা বেশ কড়াভাবে আত্মস্থ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। তারা নিজেরাই এমন সূক্ষ্ম ও মিহি আয়োজন পাতিয়ে রেখেছে যে অঘটন না ঘটার কোনো সুযোগই আর নেই। দুর্ঘটনা এখন ‘নিমিত্তমাত্র’।
ঘটনা সংঘটনের পর ‘সকলই তারই ইচ্ছা’ বলে যথারীতি সেটির গায়ে ‘দুর্ঘটনা’র স্বীকৃতিসূচক সিলমোহর মেরে ‘মহাশক্তিশালী তদন্ত কমিটি’ গঠন নতুন কিছু নয়। দিন কয়েকের মধ্যে সেই কমিটির নিঃশব্দ পরলোকগমনের শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যও সগৌরব বহাল আছে। সুতরাং পাবলিকের মরণ ছাড়া গতি নেই, দুর্গতিও নেই।