সম্প্রীতি কথাটি বর্তমানে বহুল প্রচলিত। বহুবিধ অর্থে এটি ব্যবহূত হচ্ছে। বর্তমান বাস্তবতায় সমাজ ও সভ্যতার জন্য খুবই অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ হলো সম্প্রীতি। এর প্রায়োগিক ও আভিধানিক নানা অর্থ, মর্মার্থ ও প্রেক্ষাপট থাকলেও মোটামুটি তিনটি বিষয় বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। প্রথমত, সদ্ভাব- যার মানে হলো প্রণয়, আনুকূল্য, মিত্রতা, সখ্য ও সৌহার্দ্য। এই সদ্ভাবের পরিপূরক গুণাবলির অস্তিত্ব সমাজে বিদ্যমান থাকলেই তা হয়ে ওঠে সম্প্রীতিময়। প্রত্যেক মানুষ যখন একে অন্যের প্রতি সমান অনুরাগী হবে, একই পরিমাণ প্রীত থাকবে, তখনই সেখানে সম্প্রীতির প্রত্যাশিত চিত্রটি বাগ্ধময় হয়ে উঠবে। অর্থাৎ কোনো সমাজ বা দেশে জাতি-ধর্ম, বর্ণ-গোত্র-সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষের সঙ্গে মানুষের যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই সম্প্রীতি; আবহমানকাল থেকেই এতদঞ্চলের মানুষের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতির সদ্ভাব বজায় রয়েছে। যদিও নানা সময়ে এ দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চলেছে এবং অতি সম্প্রতি বেশ ক'টি ঘটনার পর বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে।