খেলার জয়-পরাজয় কিংবা খেলার মান নয়; বরং বাংলাদেশে খেলার অবকাঠামোগত সুবিধা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া-সুবিধার উপস্থিতি নিয়ে কিছু আলাপের প্রয়াস পাচ্ছি এ লেখায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মতোই ক্রীড়া সুবিধাগুলোও রাজধানীতে কেন্দ্রীভূত। এখানে সাধারণের প্রবেশাধিকার কার্যত সংরক্ষিত। শহর ও গ্রাম, গরিব-ধনীর ক্রীড়া অন্তর্ভুক্তিকরণ এখানে বৈষম্যহীন বলার সুযোগ তৈরি হয়নি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সুবিধাগুলো সাভারের বিকেএসপি, মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, বিকেএসপির ঢাকার বাইরের কয়েকটি কেন্দ্র—এ রকম মোট আট-নয়টি জায়গায় মাত্র সীমাবদ্ধ। এই সুবিধাগুলো উঠতি প্রতিভাদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক বলা যাবে না; বরং এগুলো জাতীয় দল, ‘এ’ ও ‘বি’ দলের গোটা ৭০ থেকে ১০০ জন বাছাই করা খেলোয়াড়ের বাইরে কেউ ব্যবহার করতে পারার সুযোগ সীমিত। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল থেকে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসার প্রক্রিয়াটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল গোল্ডেন ফাইভ ‘খেলোয়াড়ের’ বাইরে বেরোতে পারছে না বলে দলটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলা যাবে না।