আমরা এখন এক বিশ্বাস-শূন্যতার সময়ে বাস করছি। ব্যক্তি থেকে সমাজ, রাজনীতি, রাষ্ট্র, সর্বক্ষেত্রেই অবিশ্বাসের দাপট। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। বিজ্ঞানকে পর্যন্ত বিশ্বাস করতে হাজারো আপত্তি। নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে দ্বিধা। মনে হয় আমি বুঝি ভুল দেখছি, কিংবা যা দেখছি তা ভুল। তাই হয়তো ইতিহাসের চেয়ে শ্রুতিকথা এখন বেশি গ্রহণযোগ্য। রাজনীতির ক্ষেত্রে এই অবিশ্বাস আরও বেশি প্রকট। যত সত্যিই হোক না কেন, ভিন্ন মতাবলম্বীর কোনো কথাকেই আমরা বিশ্বাস করতে চাই না। বরং সত্যটাকে অবিশ্বাস করার জন্য নিজের মতো করে যুক্তি দাঁড় করাতে সবাই আমরা সচেষ্ট।
সম্প্রতি কুমিল্লায় হিন্দুদের পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে সাম্প্রদায়িক তাণ্ডব বাধানোর অভিযোগে ইকবাল নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর বেরিয়েছে। সে নাকি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমসহ মূলধারার সকল সংবাদপত্রেই এই খবর এসেছে। খবরে বলা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়েছে। সেই ফুটেজও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। এ কথা সবাই জানে যে সিসিটিভি একটা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। কিন্তু তারপরও মানুষের মাঝে এ নিয়ে সন্দেহ।