আমাদের মায়েরা ছোটবেলায় ঘুমপাড়ানির গান শোনাতেন। চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা বা বর্গি আসার ভয়ের গান। আমরা সেই গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যেতাম। বর্গি আসার ভয়ও পেতাম। কিন্তু সেই ঘুমপাড়ানির গান আমরা ঘুমিয়ে পড়লেও ঠিকই জেগে থাকত গোটা সমাজ। যার কারণে দুপুরে মাকে ঘুমিয়ে রেখেই আমরা বেরিয়েও পড়তাম অনেক সময়। জেগে থাকা সমাজে কি ঘুমিয়ে থাকা যায়! আমাদের চঞ্চলমতি শৈশব অতটুকু না বুঝলেও ঘুমিয়ে থাকা মানে নিশ্চলতা, সেটি ঠিকই নিশ্চয় বুঝতাম। সেই নিশ্চলতাই কি আজ আমাদের মধ্যে ভর করল না? বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব এ বছর ধুলোয় মিশে গেল। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখলাম। কিছুই করতে না পারার ব্যর্থতা থেকে লজ্জার ভানও করলাম। রাষ্ট্র ও সরকারের ব্যর্থতা, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রতত্ত্ব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব থাকলাম। অন্যদিকে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটে গেল হিন্দুদের মন্দির, আশ্রয়, বাড়িঘর, দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে।