ট্রামলাইন ধরে হেঁটে যেতে যেতে এক কবি পৌঁছে গিয়েছিলেন মৃত্যুর পথে; সাতটি তারার তিমির ছুঁয়ে সেই কবি আলোকের অভিসারী। তিনি জীবনানন্দ দাশ—আধুনিকতাবাদী বাংলা কবিতার প্রভাবশালী কবি, মুহূর্তেই পাঠককে যিনি করে তোলেন কবিতাগ্রস্ত।
বহু বর্ষ জুড়ে সমালোচকেরা যাকে বলেন নির্জনতার কবি, প্রকৃতির কবি, চিত্রকল্পের কবি। সহৃদয় সংবেদনার এই কবি ছুঁয়ে, ছেনে দেখেছিলেন রূপসী বাংলার ট্রমা বা ক্ষতগুলো। শাশ্বত বঙ্গ, বৃহৎ বঙ্গ, আবহমান বাংলা বলে যে ভূখণ্ডকে আমরা ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিকভাবে চিনতে চাই কল্পনার চোখ দিয়ে সেই বঙ্গকেই তিনি চিনতে চেয়েছিলেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ে আলোড়িত বঙ্গদেশকে স্পর্শ করেছিলেন তিনি।