রংপুরের পীরগঞ্জে ঘটল বর্বরোচিত ঘটনা। চলমান সম্প্রীতি বিনষ্টের ধারাবাহিক ঘটনার জের। রাজনীতির ধর্ম আর ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য বিস্তর। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একাত্তরে যে বাংলাদেশ অর্জন করেছিলাম, সেই বাংলাদেশ থেকে আজকের বাংলাদেশ কত দূরে- এ নিয়ে তর্ক চলতে পারে। তবে উত্তরটা যে খুব প্রীতিকর হবে না, তা ধারণা রাখি। রাজনীতির নীতিনির্ধারকরা তো (প্রতিক্রিয়াশীলরা বাদে) বটেই, আমরাও অসংখ্যজন অহরহ বলি- বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির খুব পুষ্ট। এও বলি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। কিন্তু এ সবকিছুরই ব্যত্যয় বহুবার ঘটতে দেখেছি, এখনও দেখছি। এবার শারদীয় দুর্গোৎসবে আবারও এমনটি দেখলাম। হ্যাঁ, বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক, মুক্তমনা মানুষের সংখ্যা অগণিত। কিন্তু যে নগণ্য সংখ্যক ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কারণ হয়ে ওঠে ফিরে ফিরে; তাদের শক্তির উৎস অজানা না থাকলেও কেন তাদের প্রতিরোধ করা যায় না?