দেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার পরও ভয়ংকর এই অপরাধ কমছে না। বরং আরও বাড়ছে। কঠোর শাস্তির বিধানেও ধর্ষক ভীত হচ্ছে না। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলাগুলোর মধ্যে নিষ্পত্তি হয় সাত ভাগেরও কম মামলা। আর সাজা পায় স্বল্প সংখ্যক আসামি। আইনের ত্রুটি, ফরেনসিক টেস্টের সীমাবদ্ধতা, প্রভাবশালীদের চাপ, অর্থের দাপট এবং সামাজিক কারণে এ রকম হচ্ছে বলে মনে করছে ধর্ষণের শিকার নারী ও তার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়া মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আরেক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সারাদেশে মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার আন্দোলন দানা বেঁধে উঠলে ২০২০ সালের অক্টোবরে মন্ত্রিসভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করে চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।