কিছুদিন পর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে ভোক্তাসাধারণের নাভিশ্বাস চরমে ওঠে। আমাদের বাজারব্যবস্থায় এখনো একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা কাজ করে। অর্থনীতির সাধারণ সূত্রগুলোও এখানে অচল। সুযোগ পেলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যেমন :হঠাত্ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহখানেক আগেও যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বৃহস্পতিবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। অথচ এ বছর পেঁয়াজ উত্পাদনে রেকর্ড হয়েছে, আগের বছরের চেয়ে উত্পাদন বেড়েছে সাড়ে ৬ লাখ টন। বন্ধ নেই আমদানিও। তার পরও এভাবে দাম বাড়ার কারণ কী? এ বছর ধান উত্পাদনেও রেকর্ড হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২৪ শতাংশ। কিন্তু আমাদের বাজারে এসবের কোনো প্রভাব নেই। দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। মোটা বা বড় দানার মসুর ডালের কেজি দুই টাকা বেড়ে ৯০ টাকা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ খোলা সয়াবিন তেলই বেশি কেনে। এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিনের দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ১৪৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। চিনির কেজি ৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির পাশাপাশি শীতের আগাম সবজিও উঠেছে। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কিন্তু দাম কমেনি, বরং আরো বেড়েছে। এমন বাজার পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে রীতিমতো নাভিশ্বাস চরমে উঠে গেছে।