বিশ্বকবির অন্যান্য সৃষ্টির ন্যায় এই কবিতাতেও শুধু মনোরঞ্জনের জন্য অথবা ভাবালুতায় নিমগ্ন হওয়ার মতো কতিপয় কবিতার পঙ্ক্তি না থেকে আরও কিছু গভীর বাণী আমাদের সামনে প্রাঞ্জল হয়ে উঠেছে। এই পঙ্ক্তিগুলো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত অত্যন্ত উঁচুতলার ক্ষমতাধর কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বল্গাহীন আচরণ এবং এর পরিণতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরছে। কিন্তু এই স্বেচ্ছাচারী আচরণ একদিকে যেমন জনবান্ধব হওয়ার পরিচায়ক নয়, তেমনি সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের জন্য তা শ্লাঘার বিষয়ও নয়; বরং পীড়াদায়ক। রাষ্ট্র যদি কল্যাণরাষ্ট্র হয় এবং শাসক যদি প্রকৃতই জনদরদি হন, তাহলে এমন পরিস্থিতি তো অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। এর দায়ভার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ স্বয়ং ‘রাজাকেই’ ন্যায়দণ্ড হাতে তুলে নিতে হয়েছে। কিন্তু আধুনিক বহুমাত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান এ কাজ এভাবে সম্পন্ন করবেন যৌক্তিক কারণেই, এটা প্রত্যাশা করা যথার্থ হবে না।