আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে প্রথমেই সব শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। শিক্ষাকে বলা হয় জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষকদের বলা যায় শিক্ষার মেরুদণ্ড। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাই জাতির সংকট উত্তরণে সর্বাগ্রে ভূমিকা পালন করে থাকেন। শিক্ষকদের এ ভূমিকা মানবসম্পদ উন্নয়নে, দেশপ্রেমিক নাগরিক গড়তে আর প্রশিক্ষিত মানুষ তৈরিতে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষা সর্বস্তরের শিক্ষক এ প্রচেষ্টায় জড়িত।
এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবস এসেছে করোনা অতিমারির মধ্যে। করোনার মধ্যে দীর্ঘ দেড় বছরে সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা বসে ছিলেন না। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। সরাসরি ক্লাস বন্ধের সময় অনলাইন কিংবা দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের শিখন নিশ্চিত করতে অনেক শিক্ষক নিরলস পরিশ্রম করেছেন। করোনা অতিমারির মধ্যে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে আমরা চিকিৎসকদের ভূমিকার প্রশংসা করি। চিকিৎসকরা যেভাবে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সেবা দিয়ে গেছেন; তেমনি শিক্ষকরাও শিক্ষাসেবায় পিছিয়ে ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে; তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সমস্যাসহ সার্বিক দিক নিয়ে আমরা একটি নীতিমালা তৈরি করছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ডিভাইস কিনে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে আমাদের শিক্ষকদের বহুমুখী দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। আমরা জানি, উন্নত-অনুন্নত দেশ তথা বলা চলে গোটা বিশ্বই অতিমারির সময়ে অনলাইননির্ভর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।