বাংলাদেশে আশ্রিত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ গত ২৯ সেপ্টেম্বর বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এশার নামাজ শেষ করে মুহিবুল্লাহ তার নিজের প্রতিষ্ঠিত আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর অফিসে অবস্থান করছিলেন। অফিসের ভেতরে ঢুকে বন্দুকধারীরা তাকে ৫ রাউন্ড গুলি করে। তিন রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ ১৯৯২ সালে রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠার পর মুহিবুল্লাহ মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর থেকেই তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বসবাস করেন। তবে মাঝেমধ্যেই তিনি মিয়ানমারে গিয়েও অবস্থান করতেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে মংডু টাউনশিপের সিকদারপাড়া গ্রাম থেকে তিনি দ্বিতীয় বার বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।