বাংলাদেশে ইতোপূর্বে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিফর্মের কতিপয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও এ পর্যন্ত বিষয়টি অসম্পূর্ণই থেকে গেছে। এই অবকাশে অনেক সময় নীতিনির্ধারক এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের আন্তঃসম্পর্কের ক্ষেত্রেও ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ ঘটে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অনেক সময় অর্পিত দায়িত্ব পালনে শৈথিল্য প্রদর্শন করে থাকেন। নিজ নিজ নির্ধারিত দায়িত্ব বা কর্ম সম্পাদনে তাদের কারও কারও সক্ষমতাও প্রশ্নাতীত নয়। আবার আত্মাভিমান বা আত্মগরিমাও কাজের সাফল্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুভূমিক সম্পর্ক বা পারস্পরিক সহযোগিতাও অনেক সময় সন্তোষজনক নয়। এর ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে জনগণকে সেবা বা সার্ভিস প্রদান বিঘ্নিত হয়। পরিণতিতে সরকারের ভাবমূর্তি হ্রাস পায় এবং জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধিকন্তু দুর্নীতির কালো ছায়া ক্রমশ সমাজকে অন্তঃসারশূন্য করছে। সরকারি কর্মচারীরাও দুর্নীতির চোরাবালিতে পথহারা হচ্ছে। এটা কোনো জাতির জন্যই শ্নাঘার বিষয় নয়। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন আগের তুলনায় অধিক ক্ষমতার অধিকারী। এ ছাড়া তথ্য কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রভৃতি গঠন করা হয়েছে।