জলাতঙ্ক একটি মরণব্যাধি। এই রোগ সাধারণত গৃহপালিত প্রাণী ও বন্যপ্রাণীকে প্রথমে সংক্রমিত করে, মানুষ এই প্রাণীগুলোর লালার সংস্পর্শে এলে বা এই প্রাণীগুলো যদি মানুষকে কামড়ায় অথবা আঁচড় দেয় তাহলে এই রোগ মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। জলাতঙ্ক রোগ অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া প্রায় সব মহাদেশেই দেখা গেছে। বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।
বিশ্বে প্রতি ৯ মিনিটে ১ জন ও বছরে ৫৯ হাজার মানুষ এ রোগে মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের। জলাতঙ্ক রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়াল এবং বেজির কামড় বা আঁচড়ের শিকার হয়ে থাকে, যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে ঢোক গিলার সময় ডায়াফ্রাম, রেসপিরেটরি মাসল ও কণ্ঠনালির তীব্র ব্যথাযুক্ত সংকোচন হয়, বিশেষ করে পানি পান করার চেষ্টা করলে ডায়াফ্রাম ও অন্যান্য রেসপিরেটরি মাসলের তীব্র সংকোচন ও ব্যথা হয়, ফলে রোগীর মধ্য হাইড্রোফোবিয়া বা পানিভীতি তৈরি হয়। কোনো ব্যক্তি জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তির ভীতি দূর করতে হবে।