নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়দায়িত্ব পালনে ফের নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার যে নজির মিলল, তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না। মঙ্গলবার সমকালসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ৯টি পৌরসভা নির্বাচনে মৃত্যু, সংঘর্ষ, গোলাগুলি আর ভোট বর্জনের চিত্র উঠে এসেছে। নিহত দু'জন ভোট গ্রহণ চলাকালে এবং একজন ভোটের আগের রাতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যান। আহতের সংখ্যাও কম নয়। আমরা জানি, এখন স্থানীয় সরকার কাঠামোর ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেন দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে।
কোনো কোনো স্থানে বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো- সমকালে প্রকাশিত এ খবর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য স্বস্তির হলেও জোর করে ব্যালটে সিল মারা, ব্যালট পেপার ছিনতাই, প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার খবরগুলো স্পষ্টতই অশুভ বার্তা দেয়। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত কয়েকজন প্রার্থীও ভোট বর্জন করেছেন।