ছয় শতাংশের বসতভিটা ছাড়া কিছুই নেই পঞ্চাশোর্ধ্ব সালেহা বেগমের। মাথা গোঁজার সে ঠাঁইটুকুও কেড়ে নিতে মরিয়া তিস্তা। গত দুই মাস ধরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের চরগনাই গ্রামের সালেহা বেগমের চোখে ঘুম নেই। শুধু সালেহা বেগমই নয় ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে ওই ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবারের।
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার বালাপাড়া ও টেপামধুপুর ইউনিয়নে নদী তীরের দশ গ্রামের একাংশ প্রায় বিলীন হতে চলেছে। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে ঘরবাড়ি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। ভাঙনের কবলে রয়েছে অনেক পরিবার। প্রায় আট কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিদিন ধসে পড়ছে মাটি।