আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে পিআরও বা জনসংযোগ কর্মকর্তা সোলাইমান হোসাইন শাওন। কদিন আগেও যিনি স্বল্প দামের মোটরসাইকেল ও গণপরিবহনে চলতেন, ইভ্যালিতে চাকরির সুবাদে রাতারাতি অর্থনৈতিকভাবে ফুলতে লাগলেন। এখন চড়েন ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারে। নামে-বেনামে অর্জন করেছেন বিপুল টাকা।
তার বিরুদ্ধে গ্রাহক ও ইভ্যালির স্টাফদের অভিযোগ, তিনি ইভ্যালি থেকে অনৈতিক উপায়ে বিপুল টাকা উপার্জন করেছেন।
জানা গেছে, অল্প কদিনেই কোটিপতি বনে যাওয়া শাওন নিজের নামে বা আত্মীয় স্বজনের নামে ইভ্যালির বিভিন্ন অফারে নামিদামি পণ্য অর্ডার করতেন। পরে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতনদের তদবির করে পণ্য দ্রুত ডেলিভারি নিয়ে সেসব রিসেলিং করতেন। এছাড়াও মােটা কমিশনের বিনিময়ে তিনি গ্রাহকের বড় অংকের পণ্যের ডেলিভারি দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। এভাবেই অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্জন করেন বিপুল পরিমাণ টাকা। যেখানে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও সাধারণ গ্রাহক পণ্য ডেলিভারি পেতেন না। সেখানে তার এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ছিলেন সবাই।
র্যাবের অভিযানে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মােহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তার হচ্ছেন- এমনটি আঁচ করতে পেরে আত্মগােপনে চলে যান শাওন। নিজের গ্রেপ্তার এড়াতে বন্ধ করে দেন ব্যক্তিগত ও অফিসের মােবাইল ফোন।
কদিন ধরে নিজের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও অন্য এক আত্মীয়র বাড়িতে রেখেছেন। আবার অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ নিজের স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না শর্তে ঢাকাটাইমসকে এসব তথ্য
জানিয়েছেন।