বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শিক্ষা ও শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত সব খাত। মূলত দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে থাকার কারণে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি অন্য কিছু দিয়ে পরিমাপযোগ্য নয়। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, একটা সংকটকাল পাড়ি দিতে গিয়ে শিশুরা প্রাকৃতিকভাবে কিছুটা হলেও ধৈর্য ও সহনশীলতা বাড়ানোর শিক্ষা পেয়ে গেছে। স্বস্তির বিষয়, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষাজীবন ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
নিঃসন্দেহে এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক টানাপোড়েন থেকে মুক্তি দেবে। তবু অতিমারির এই সময়টা খুব সহজে অতিক্রান্ত হওয়ার নয় বলে একে সঙ্গে নিয়েই আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে। সুতরাং যে 'নিউ নরমাল লাইফ'-এ অভ্যস্ত করার কথা, আমরা অভিভাবকরা কতটা সেই শিক্ষা দিতে পারছি, সেটাই এখন মুখ্য হয়ে দেখা দিচ্ছে।