বিশ্ব চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় নির্মাণ করেছিলেন ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’। গল্পের দুই প্রধান চরিত্র গুপী আর বাঘা। গুপী, বাঘা সংগীতের অনুরক্ত। আমিও সংগীতের অনুরক্ত। তারা দুজন তাদের গ্রাম থেকে বিতাড়িত হয়েছিল, কারণ সংগীতপ্রেমী হলেও সংগীত বিষয়ে কোনো জ্ঞান ছিল না তাদের। আমিও সংগীতে কোনো জ্ঞান রাখি না। তবে আমি এখন অবধি আমার সেই মূর্খতার জন্য কোনো ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত হইনি। বিতাড়িত হয়ে এক বনে এক ভূতের রাজার সঙ্গে গুপী আর বাঘার সাক্ষাৎ। ভূতের রাজা তাদের তিনটি বর দিলেন। তিনটি বরের মধ্যে দ্বিতীয়টি ছিল, গুপী আর বাঘার দেশ–বিদেশ ভ্রমণের ক্ষমতা পাওয়া। ২০১৯ সালে অতিমারি শুরু হওয়ার আগে আমার ভ্রমণের এক দশক পার করতে যাচ্ছিলাম মার্কিন মুলুক ভ্রমণের মধ্য দিয়ে। সেই সময়ে আমার মনে হয়েছে আমিও হয়তো গুপী-বাঘার মতো ভূতের রাজার দ্বিতীয় বরটি পেয়েছি।