একলেসিয়া প্রাচীন গ্রিসে নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি উপায় হিসেবে সুবিদিত। এই পদ্ধতিতে যোগ্য নাগরিকেরা নগর ও রাষ্ট্রের কল্যাণে প্রণীত আইন সম্পর্কে চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার অধিকার রাখতেন। তাঁরা সংসদ সদস্যদের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন না; কিন্তু যোগ্য নাগরিক হিসেবে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তবে এটি পুরোপুরি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি ছিল না। কারণ, সমাজের সব স্তরের মানুষের, যেমন: গ্রামের দরিদ্র মানুষ কিংবা নারীদের প্রতিনিধিত্ব ছিল না। তাই একটি দেশের সব মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারভুক্ত বিষয়গুলোয়—স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদি—একলেসিয়া পদ্ধতি হুবহু অনুসরণ করলে অর্থবহ ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু একলেসিয়া পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে এই পদ্ধতিতে মতামত সংগ্রহের একটি সর্বজনীন উপায় হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আধুনিক এই সময়েও একলেসিয়া পদ্ধতি স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নে একটি সর্বজনগ্রাহ্য পদ্ধতি হতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি লক্ষণীয়; কিন্তু পর্যাপ্ত নয়। যে কারণে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির প্রাদুর্ভাব এবং সাম্প্রতিক কালে ডেঙ্গু রোগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার চলমান দুর্বলতাগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য করণীয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।