‘একতা-ইমান-শৃঙ্খলা’র মূলমন্ত্রে দীক্ষিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংহতি ও অখ-তার প্রতি হুমকি এসব বাঙালি ছেলেরা অনানুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান সরকারের কাছে ‘মুক্তি’ নামেই পরিচিত ছিল। কিন্তু কাগজে-কলমে তা বললে ‘মুক্তি’দের স্বীকার করে নেওয়া হয়, তাই তাদের বলা হয় ‘দুষ্কৃতকারী’। তবে দুষ্কৃতকারীর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রাদেশিক সরকারকে ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতেই হয়েছে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী।
অনুগত দাস সব আমলেই থাকে; কেউ বুদ্ধিজীবী হিসেবে, কেউ রাজাকার হিসেবে। পাকিস্তান সরকারের একটি প্রণোদনামূলক সিদ্ধান্ত ২৫ নভেম্বর ১৯৭১ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এতে সরকারি প্রেসনোটের বরাতে বলা হয় যেসব অনুগত ব্যক্তি দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের মতো নির্ভরযোগ্য খবর দেবে বা নিজেরা দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের কাছে পেশ করবে সরকার তাদের যথোপযুক্ত পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।