হাতে আর মাত্র ৬৫ দিন। তারপর কি মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকতে পারবেন? এর উত্তর জানার আগে সার্বিক পরিস্থিতি একটু বুঝে নেওয়া যাক। অনেক সময় পচা শামুকেও মানুষের পা কেটে বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার ঘটে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ক্ষেত্রেও তেমন ঘটনা ঘটেছে। তারই হাতে গড়া নন্দীগ্রামের নেতা শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর বিধানসভা নির্বাচনে জেদবশত সেই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে নির্বাচনে লড়ে শুভেন্দুর কাছে সামান্য ব্যবধানে হেরে যান মমতা। যদিও এই হার মেনে নিতে পারেননি তিনি। মামলা হয়েছে। মমতা হারলেও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস ভূমিধস বিজয় পেয়েছিল। ২১৩ আসনে জয় লাভ করেছিল তৃণমূল, এর বিপরীতে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৭৭টি আসন। সম্প্রতি বিজেপির দুজন বিধায়ক মমতার দলে যোগদান করেছেন, এবং দুজন পদত্যাগ করেছেন। ফলে বিজেপির বিধায়কসংখ্যা এখন ৭৭ থেকে কমে ৭৩ হয়েছে। সুতরাং নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় থাকতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো সমস্যাই হবে না। এদিকে ‘দুয়ারে সরকার’ নামে জন ও গণমুখী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে তৃণমূল সরকারের জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে বলে মনে করেন পর্যবেক্ষক মহল। কিন্তু এত কিছুর পরও শান্তিতে নেই মমতা ব্যানার্জি। তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিধানসভা নির্বাচনে হেরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পেরেছেন বটে। তবে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী মমতাকে শপথ গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে উপনির্বাচন জয়ী হয়ে আসতে হবে। আর এই ছয় মাস শেষ হচ্ছে আগামী ৫ নভেম্বর। অর্থাত্ হাতে মাত্র ৬৫ দিন।