চিত্রনায়িকা পরীমণিকে গ্রেফতারের পরে লেখক, শিল্পী অ্যাক্টিভিস্টদের একাংশ তার পাশে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে পরীমণির অনেক সহশিল্পীকে তার পাশে দেখা যায়নি। এই দুইয়ের বিতর্কের মধ্যে অ্যাক্টিভিস্ট ও নারী আন্দোলনকর্মীরা বলছেন, তারা ন্যায়বিচার চান। পরীমণির সঙ্গে যা করা হয়েছে তা সংবিধান ও আইনসম্মত উপায়ে করা হয়নি। তারা বলছেন, এই সমাজ শিরদাঁড়া সোজা করে রাখা নারীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে চায়। পরীমণি এখন সেই প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাদের।
পরীমণির জামিন, ন্যায়বিচার ও মুক্তি নিয়ে প্রেসক্লাব, টিএসসি ও শাহবাগে বেশকিছু প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। শুরুর দিকে তরুণ প্রজন্ম শুরু করলেও এরপরে যুক্ত হন বাংলাদেশের মানবাধিকার ও নারী আন্দোলনের পুরোধা হিসেবে পরিচিতরাও। গত ২২ আগস্ট শাহবাগে আয়োজিত সমাবেশে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘কীভাবে রাষ্ট্র নিজেই তার একজন নাগরিককে এরকম হেনস্তার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়?’