জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সমগ্র জীবন কাটিয়েছেন রাজনৈতিক সংগ্রামে। কারাগারে কেটেছে অনেকটা সময়। সে তুলনায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সময় দিতে পেরেছেন খুব কম। যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশের জাতির পিতা হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার সংকটপূর্ণ সময় কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঘাতকরা তাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। কিন্তু এই স্বল্পকালীন শাসনকালেও বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রচিন্তা যেভাবে সাধারণ সমাজকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে, সেটা ছিল তার সারাজীবনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার এক অসাধারণ নির্যাস।
১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম, লেখক-সাংবাদিক রাহাত খান, শামসুজ্জামান খান ও বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের ম. জিল্লুর রহমান। নানা আলাপে তারা দেশের অর্থনীতিসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলে বঙ্গবন্ধু তাদের এই ভূখণ্ডের জনমানুষের মনস্তত্ত্ব বিশ্নেষণ করে এক অসাধারণ জবাব দেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, "বাঙালি খুব গরিব, দরিদ্র; আমার ভাষায় দুঃখী। আমি যতটা ইতিহাস পড়েছি তাতে জেনেছি, হাজার বছর ধরেই বাঙালি দুঃখী, অভাবী। তার বিত্ত নাই, বেসাত নাই। হাতে পয়সা নাই।