বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় এশিয়ার মধ্যে সর্বাধিক। চিকিৎসাসেবা গ্রহণে অত্যধিক ব্যয়ের মূল কারণ হচ্ছে সরকারি আনুকূল্যে ওষুধের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, রোগ নির্ণয় এবং শৈল্য চিকিৎসায় কল্পনাতীত অতিরিক্ত চার্জ ও অপচিকিৎসা।
শৈল্য চিকিৎসায় কত গুণ চার্জ করা হয়, সে সম্পর্কে দু'একটি উদাহরণ দিচ্ছি। বয়োবৃদ্ধদের ছানি কেটে চোখে নতুন লেন্স বসাতে (আইওএল) সর্বসাকল্যে খরচ ২ হাজার টাকার অনধিক। ফেকো পদ্ধতিতে ছানি কাটার অপারেশন করলে খরচ দ্বিগুণ। এ পদ্ধতিতে অপারেশন করলে রোগীর সময় সাশ্রয় হয়। বয়োবৃদ্ধদের এত সময় সাশ্রয়ের প্রয়োজন কতটুকু, তা বিবেচ্য হওয়া উচিত। বিভিন্ন ক্লিনিকে আইওএলের জন্য ৫০ হাজার টাকা বা ততোধিক এবং ফেকো অপারেশনের জন্য এক থেকে দেড় লাখ টাকা চার্জ করা হয়। কতিপয় চক্ষু চিকিৎসক ভাঁওতা দিয়ে ৫০ হাজার টাকায় প্রদাহ নিবারক ইনজেকশনও বিক্রি করে থাকেন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির অনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে। এরূপ অতিরিক্ত চার্জ দিনদুপুরে ডাকাতিতুল্য নয় কি? শিক্ষিত জনসাধারণ ও সাংবাদিকরাও এরূপ অত্যধিক অস্বাভাবিক চার্জ সম্পর্কে প্রায়ই কোনো প্রশ্ন তোলেন না।